নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মহানগরীতে টানা বৃষ্টিতে প্রায় সব নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় ভবনের নিচতলা ও সড়কের পাশে দোকানপাট, বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অফিসগামী মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। এছাড়া অক্সিজেন থেকে বায়েজিদ বোস্তামি সড়কের একাংশ ভেঙ্গে পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে বুধবার রাতভর থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের পর বৃহস্পতিবার ভোর থেকে একটানা মুষলধারে বর্ষণ শুরু হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্ম্মা বলেন, ভোর ৪টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত একটানা বৃষ্টি হয়েছে। জোয়ারও ছিল। এজন্য অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়েছে। আগের চেয়ে পানি আরও বেশি সময় আটকে ছিল। সড়কে ভেঙ্গে পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সেখানে খালের ওপর কালভার্টের পাশে বৃষ্টির কারণেই গর্ত হয়ে গিয়েছিল। মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে কিছু অংশ খালের মধ্যে দেবে গেছে। আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম সেখানে কাজ করছে।
নগরীর পতেঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল আলম জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃষ্টিপাত আরও ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।। পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ঝুঁকি থাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ, কাতালগঞ্জ, ওয়াসা মোড়, জিইসি, চকবাজার, বাদুরতলা, জামালখান বাই লেইন, আসকারদিঘীর পাড়ের নিচু অংশ, আগ্রাবাদ, হাজীপাড়াসহ আরও কিছু এলাকায় হাঁটুসমান পানি জমে আছে। নগরীর বহদ্দারহাটে একটি মার্কেটের নিচতলার সব দোকানপাটে পানি থই থই করছে।
সকালে কর্মজীবী লোকজনকে বাসা থেকে বেরিয়ে মূল সড়কে পৌঁছাতে জমে থাকা পানি মাড়িয়ে পায়ে হেঁটে যেতে হয়েছে। আবার বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে কম ছিল গণপরিবহন। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশার চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েছেন।
স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের রাস্তায় এসে ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে। দুর্ভোগে পড়া লোকজন খাল-নালা ঠিকভাবে পরিষ্কার না করার অভিযোগ করে সিটি করপোরেশনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে নগরীর অক্সিজেন থেকে বায়েজিদ বোস্তামি সড়কের স্টারশিপ ফ্যাক্টরির কাছে শীতলঝর্ণা খালের ওপর একটি সেতুসহ রাস্তার কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। এতে ওই সড়ক দিয়ে আংশিকভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ওই সড়কে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট।
