১৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জুলাই শহিদদের স্মরণে ৮৬৪টি স্থানে ফলক স্থাপন করা হবে: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই শহিদদের কোনো পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক।বুধবার দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাট মোড়ে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ নির্মাণকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।শহিদ পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের বিষয়ে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, শহিদ পরিবারের জন্য এককালীন অনুদানও হচ্ছে, তাদের ভাতাও হবে। এগুলো অনেক ভেবেচিন্তে আমাদের করতে হচ্ছে, পারিবারিকভাবে অনেকের দ্বন্দ্ব আছে। আমরা চাই না, কোনো শহিদ পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করুক। পুনর্বাসনের মাধ্যমে তারা যেন সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে, সেই উদ্যোগ মন্ত্রণালয় নিয়েছে। এদের জন্য একটা অধিদফতর গঠন করা হয়েছে। ওই অধিদফতরের মাধ্যমে তাদের বিষয়গুলো সবসময় দেখাশোনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন নানা কথা নানা দিক থেকে হচ্ছে। কিন্তু সরকারকে তো দায়িত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়। এমন নয় যে আবেগের বশে কিছু করে ফেললাম। কিন্তু, এ ধরনের কাজও অনেক হয়েছে, এরপর এখন যেটা হচ্ছে সেটা অনেক গোছানো কাজ। তাদের বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে দেখা হচ্ছে। কেউ, কোনো শহিদ পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে না।
হত্যাকাণ্ডে দায়ীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,দ্রুত বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর দুটো দিক আছে- দ্রুত বিচার এটা ক্যাঙ্গারু বিচার। আর বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা এটা বিচারহীনতা। বিচারের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী দুইটা আদালত গঠন করা হয়েছে, অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। কেউ যেন এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন তুলতে না পারে, আপনারা কি আগে কখনো দেখেছেন বিচার প্রক্রিয়া আদালত থেকে সরাসরি সম্প্রচার হয়? এটা করা হচ্ছে সারা বিশ্ব যেন দেখে যে আমাদের এ ধরনের বিচার করার সক্ষমতাও আছে।
এর আগে, উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, জুলাই শহিদদের স্মরণে দেশের ৮৬৪টি স্থানে ফলক স্থাপন করা হবে। একটি ফলকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। দেশের ৮৬৪টি জায়গায় এমন ফলক স্থাপন করা হবে। শহিদদের স্মরণে তারা যেখানে শহিদ হয়েছেন, সে স্থানে এসব ফলক হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট ও মুরাদপুরে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ নির্মাণ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের সহযোগিতায় এসব ফলক নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. নোমান হোসেন।

 

আরও পড়ুন