নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম: বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজরি কমিটি সদস্য ইসরাফিল খসরু চৌধুরী বলেছেন, যাদেরকে আমরা তরুণ বলি, তাদের সংখ্যা ৪ কোটি ৬০ লাখ। অলমোস্ট পপুলেশনের ৩০ পার্সেন্ট।তোমাদের বাইরে রেখে রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়। ‘তোমাদেরকে নিয়ে রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।
এটি হলো বাংলাদেশের বাস্তবতা। কাজেই নিজেদের শক্তিটাকে আগে বুঝতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানে অনেকের কন্ট্রিবিউশনের কথা বলি, কিন্তু স্কুল শিক্ষার্থীদের কথা বলি না। তাদের একটা বড় অবদান ছিল। তারা মাঠে নেমেছিল’।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকালে নগরের থিয়েটার ইন্সটিটিউটে মার্কস দৃষ্টি ডিবেট চ্যাম্পিয়নশীপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসরাফিল খসরু চৌধুরী বলেন, কনফিডেন্ট থাকতে হবে। একটা মেধাভিত্তিক সমাজ যদি গঠন করতে হয়, তার পূর্বশর্ত হলো মত প্রকাশের স্বাধীনতা। নিজের কথাটা বলার স্বাধীনতা। যেটা ১৫ বছর আমাদের ছিল না। ছিল না দেখেই জুলাই অভ্যুত্থান ঘটেছে। বাংলাদেশের সকল স্তরের জনগণ মিলে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছে, যেখানে তোমাদের কন্ট্রিবিউশন ছিল। কাজেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটা ফান্ডামেন্টাল প্রিন্সিপাল। মত প্রকাশের ভাল একটি মাধ্যম হল ডিবেট বা বিতর্ক। যে সমাজে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই সেই সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না। সমাজিক বিকাশ ও সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটাতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে।
বিতর্কের দুটি ফাউন্ডেশন আছে জানিয়ে ইসরাফিল খসরু চৌধুরী বলেন, একটি হলো যুক্তি, বিতর্কের মধ্যে যুক্তি থাকতে হবে। যুক্তি ছাড়া তো বিতর্ক হবে না। আরেকটি হল অন্যের মতের প্রতি সম্মান। ৫ আগস্টের পরে তরুণদের আমি উপদেশ দিই না। তাদের থেকে উপদেশ নিই। কারণ ৫ আগস্ট তরুণরা দেখিয়ে দিয়েছে তারা কী করতে পারে। কিন্তু কিছু কিছু কথা আমি বলি আমার এক্সপেরিয়েন্স থেকে। আমাদের যদি সাকসেসফুল হতে হয় প্রথমে একটা জিনিস থাকতে হবে। সেটি হল সহমর্মিতা। অন্যদের সমস্যাটা বুঝতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি যদি নিজের সমস্যা বুঝে অন্যের সমস্যা বুঝতে না পারি, আমি কিন্তু সুন্দর সমাজ গঠন করতে পারব না। আমি যে প্রফেশনে থাকি অন্যের সমস্যা আমাকে বুঝতে হবে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, বলতে হবে কম, শুনতে হবে বেশি। তৃতীয়ত ধৈর্য থাকতে হবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরতে হবে। ধৈর্য থাকা খুব জরুরি। চতুর্থ হল- দেশপ্রেম। নিজের দেশকে যদি ভালবাসেন এই তিনটি জিনিস অটোমেটিক চলে আসবে। আরেকটি জিনিস হলো, পরিকল্পনা থাকতে হবে। যাতে কাজগুলো সুন্দরভাবে করা যায়।
মার্কস দৃষ্টি ডিবেট চ্যাম্পিয়নশীপ উদ্বোধন করেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সিপিডিএল ফ্যামিলির সভাপতি প্রকৌশলী ইফতেখার হোসেন, দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল, চট্টগ্রাম জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য বৃজেট ডায়েস। এই প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামের ৩২টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে।
