নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বন্দরে লুকিয়ে থাকা ষড়যন্ত্রকারীরা বন্দরকে অস্থিতিশীল করার নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্ত। তিনি বলেন, ‘গেল ১০ দিনে বন্দরের এনসিটি নিয়ে নানা কথা বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। তিন ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কানে আসছে। কখনো বলা হচ্ছে, সাইফ পাওয়ার টেকের সঙ্গে চুক্তি তিন মাস বাড়ানো হবে। আবার বলা হচ্ছে, আগামী ছয় মাস বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেরাই পরিচালনা করবে। এরপর বলা হয়েছে, নৌবাহিনীকে দিয়ে পরিচালনা করা হবে।’সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রধান ফটকে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে তপন দও এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গত ১০ দিনে এনসিটি নিয়ে সরকার ও বন্দর কর্তৃপক্ষের ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্ত বা কথাবার্তায় প্রতীয়মান হচ্ছে, বন্দর সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার চেয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা একশ্রেণির কর্মকর্তাদের মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ইজারা বন্ধের দাবিতে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শ্রমিকনেতারা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের প্রধান বাণিজ্যিক প্রবেশদ্বার এবং অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত, আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এবং সর্বোচ্চ সক্ষমতাসম্পন্ন এনসিটি এখন দেশের সবচেয়ে সফল কনটেইনার টার্মিনাল। এটি বিদেশি অপারেটরের হাতে তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা জাতীয় স্বার্থবিরোধী এবং চরম আত্মঘাতী।
স্কপের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহেদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এস কে খোদা তোতন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতা মহিন উদ্দিন, বিএলএফের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হক প্রমুখ।
