নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের সিংহভাগ রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের বর্তমান ভবনটি বহু পুরোনো। এটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনাও পুরোনো। তবে ধীরে চলা ওই কাজে এবার গতি মিলেছে। চূড়ান্ত হয়েছে নতুন কাস্টম ভবনসহ তিন আইকনিক ভবনের নকশা। এখন শুধু প্রধান উপদেষ্টার সামনে উপস্থাপন করার অপেক্ষা।এ বিষয়ে চলমান কার্যক্রম নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সম্মেলন কক্ষে কথা বলেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
এছাড়া নতুন ভবন নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের মত গুরুত্বপূর্ণ কাস্টমসের কার্যক্রম বিকল্প জায়গায় স্থানান্তরেরও পরিকল্পনা হয়েছে। নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদে চিটাগাং চেম্বারের মালিকানাধীন দেশের একমাত্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের প্রায় দেড় লাখ বর্গফুট জায়গাকে প্রাথমিকভাবে চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে। ভবনটির ৫ম ও ৮ম থেকে ১০তলা পর্যন্ত ৪টি ফ্লোরে কাস্টমসের কার্যক্রম স্থানান্তরের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এরপর বর্তমান কাস্টমস ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে।এ বিষয়ে আবদুর রহমান খান বলেন, চট্টগ্রামে আমরা তিনটি আইকনিক ভবন করার প্ল্যান নিয়েছি। একটি কাস্টম হাউস হবে। এটি অত্যন্ত নান্দনিক হবে। অপর দুটির মধ্যে রয়েছে কাস্টমস একাডেমি ও কর ভবন। কর ভবন আগ্রাবাদে করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু কাস্টম হাউস করতে হলে পুরোনো ভবন ভাঙতে হবে, সেহেতু কাস্টম হাউসের একামোডেশনের কী হবে, সে জন্য আমরা কয়েকটি জায়গা ভিজিট করেছি। আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এরিয়া দেখেছি। আমাদের ব্যবসায়ীদের অধিকাংশ আগ্রাবাদ এরিয়ায়। যত দিন কনস্ট্রাকশন কাজ না হয়, তত দিন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে কাস্টম হাউস শিফট হবে।
এ বিষয়ে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সচিব নুরুল আবছার চৌধুরী বলেন, শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে এনবিআর চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারসহ প্রতিনিধি দল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ৫ম, ৮ম, ৯ম ও ১০ম তলা পরিদর্শন করেছেন। প্রতিনিধিদল প্রায় দেড় লাখ বর্গফুট জায়গা ভাড়া নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। চিটাগাং চেম্বার কর্তৃপক্ষ এনবিআরের চাহিদা মাফিক জায়গা দিতে প্রস্তুত রয়েছে এবং তাদের চাহিদা মাফিক ফ্লোরের অসম্পূর্ণ কাজ নির্ধারিত সময়েও শেষ করে প্রস্তুত করে দেওয়া হবে। তবে এসব বিষয়ে এনবিআর বা চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাথে চিটাগাং চেম্বারের একটি চুক্তি হবে। চুক্তির আওতায় যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস ছাড়াও ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ১১ থেকে ১৫ তলা কর অঞ্চল ৫ এবং ১৬ থেকে ২০ তলা কর অঞ্চল ৬ প্রস্তাবিত নতুন কর অঞ্চলের জন্য ভাড়া নিতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তৃতীয় তলায় ইপিবি (রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো) চট্টগ্রাম অফিস ভাড়া নিয়ে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আগস্ট থেকে তাদের ভাড়াও শুরু হবে। তারা অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের চট্টগ্রাম অফিসের কার্যক্রম শুরু করবে।