৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে সবজির দামও চড়া, মাছ, মাংস, মুদিপণ্যের দাম স্থিতিশীল

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম মহানগরের গ্রীষ্মকালীন সবজির দামও চড়া। তবে মাছ, মাংস, মুদিপণ্যের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। বরং, ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ি ও রিয়াজউদ্দিন বাজার ঘুরে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দরদামের এ চিত্র পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর খাতুনগঞ্জে পাইকারি বাজারে এখন দেশীয় হালি পেঁয়াজের সরবরাহ বেশি। ভারতীয় পেঁয়াজ থাকলেও চাহিদা বেশি নেই। পাইকারিতে সবধরনের পেঁয়াজের দাম পহেলা বৈশাখের পর কেজিতে ২ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
খাতুনগঞ্জে পাইকারি বাজারে হালি পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। গত সপ্তাহে দাম ছিল ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫৫ টাকায়। গত সপ্তাহে দাম ছিল ৫২-৫৩ টাকা। আর দেশীয় মুড়িকাটা পেঁয়াজ আড়তে তেমন নেই। যা আছে সেগুলো কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জের হামিদউল্লাহ মার্কেটের পেঁয়াজের আড়তদার মেসার্স বাচা মিয়া ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, আমরা এতদিন দেশীয় মুড়িকাটা ও মেহেরপুরের পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। সেগুলোর ফলন এবার ভালো হয়েছিল, দামও কম ছিল। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এসব পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যায় না। সেজন্য বিক্রি করে ফেলতে হয়েছে। মুড়িকাটা ও মেহেরপুরের পেঁয়াজের মজুত শেষ। এখন বাজারে এসেছে হালি পেঁয়াজ। এটার চাহিদা বেশি, আবার সংরক্ষণও করা যায়। অনেকে হালি পেঁয়াজ কিনে মজুত করছে, সেজন্য দাম বাড়ছে। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আছে, কিন্তু সেগুলোর চাহিদা নেই।
খুচরায়ও বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশীয় পেঁয়াজের দাম অন্তত কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার খুচরায় পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এ ছাড়া, রসুনের দামও কিছুটা বেড়েছে। চায়না রসুন ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে খুচরায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২২০ টাকায়। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে ভারতীয় আদার দাম, যা প্রতিকেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বাজারে ৬০ টাকা কেজির নিচে গ্রীষ্মকালীন সবজি মিলছে না। খুচরায় প্রতিকেজি বেগুন, তিতা করলা, পটল, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, কচুর লতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। ঝিঙ্গা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসা, পেঁপে, চালকুমড়া ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁকরোলের দাম একেক বাজারে একেকরকম দেখা গেছে। কাজির দেউড়ি বাজারে প্রতিকেজি কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। রিয়াজউদ্দিন বাজারে খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। আবার রিয়াজউদ্দিন বাজারে পাইকারি আড়তে সেই কাঁকরোল ৯০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
অবশ্য দামের স্বস্তি দিচ্ছে আলুসহ কয়েকটি সবজি। আলু প্রতিকেজি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ ৪০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ২৫ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা ও কাঁচাকলা জোড়া ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাজর ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন ফুলকপি-বাঁধাকপি কেজি ২০ টাকা, মূলা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বাজারে শাকের মধ্যে পুঁইশাক প্রতি আঁটি ৪৫ টাকা, লাউশাক, কলমিসহ বিভিন্ন ধরনের শাক ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবু আকারভেদে ১২০ থেকে ২২০ টাকা ও ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

 

 

আরও পড়ুন