নিজস্ব প্রতিবেদক : কিছুদিন আগেও ৪০-৫০ টাকায় পাওয়া যেত প্রতি কেজি মরিচ। সেই মরিচ এখন সেঞ্চুরি পেরিয়ে বিক্রি হচ্ছে দেড়শ টাকায়। বাড়তে থাকা মুরগিতে কিছুটা স্বস্তি এলেও ক্রেতারা সন্তুষ্ট নন। বহদ্দারহাট ও ষোলশহরের কর্ণফুলী কমপ্লেক্সে ঘুরে দেখা গেছে, মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০টাকায়। দোকানগুলোতে তেমন একটা মরিচ নেই। অল্প যেগুলো মরিচ আছে-সেগুলোই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। দোকানিরা জানান, দেশজুড়ে বৃষ্টির প্রকোপ বেড়েছে। এ কারণে দুই সপ্তাহ আগে মরিচের দাম বাড়তে শুরু করে। শুরুতে এই দাম ২০০ এর উপরে ওঠেছিল। এই সপ্তাহের শুরু থেকে রোদ উঠায় দাম কিছুটা কমেছিল। কিন্তু গত দুদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় আবার দাম বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে মরিচ কিনতে এসে ক্ষুব্ধ হন গৃহবধূ সাহেনা আক্তার। তিনি বলেন, পণ্যের দাম বাড়াতে ব্যবসায়ীরা সবসময় কোনো না কোনো অজুহাত দাঁড় করান। এখন মরিচের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে-বৃষ্টির অজুহাতে। মূলত বাজারে তদারকি না থাকায়, যেমন ইচ্ছে তেমনভাবে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছেন।
তবে বাজারে ব্রয়লার মুরগি আগের চেয়ে ৫-১০টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৬০টাকায়। গতকাল ১৫০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। তবে সোনালি মুরগির দাম কমেনি। বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৩০টাকায়। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম আগের মতো আছে। পেঁয়াজ ৫৫-৬০, রসুন ১৪০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।কয়েকরকম সবজির দাম কিছুটা কমেছে, আবার কিছুর দাম বেড়েছে। আলু ২৫, কাকরোল ৮০, বরবটি ৫০-৬০, ঢেড়শ ৫০-৬০, মরিচ ৬০-৭০, বেগুন ৬০-৭০, পটল ৪০-৫০, মরিচ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিংড়ির দাম অপরিবর্তিত আছে, প্রকারভেদে ৭০০-১২০০ টাকা, জীবন্ত রুই-কাতলার ৪০০- ৪৮০, তেলাপিয়া ২০০-২২০, ইলিশ আকারভেদে ১৬৫০-২৬০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।