অনলাইন ডেস্ক: কুমিল্লার মুরাদনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার এক বছর ১২ দিন পর আদালতের নির্দেশে শফিউল্লাহ (১৮) নামে এক যুবকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামে কবর খোলার কাজ শুরু হয়। বিকেল ৫টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।।নিহত শফিউল্লাহ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্র মতে, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে শফিউল্লাহ ও তার বন্ধু সোহাগ মিয়া মোটরসাইকেল নিয়ে হোমনা উপজেলার উদ্দেশে রওনা দেন। মুরাদনগর-হোমনা সড়কের রঘুনাথপুর এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তারা ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই শফিউল্লাহ মারা যান এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহাগের মৃত্যু হয়।
প্রথমে ঘটনাটি স্বাভাবিক দুর্ঘটনা হিসেবে নিলেও এক মাস পর নিহত শফিউল্লাহর বাবা মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে মামলা দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে বড় আলীরচর গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে সিএনজিচালক মাইন উদ্দিন পরিকল্পিতভাবে সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজান।
অভিযোগে বলা হয়, খেলা দেখে ফেরার পথে বেপরোয়া গতিতে সিএনজি চালিয়ে মাইন উদ্দিন ইচ্ছাকৃতভাবে মোটরসাইকেলের ওপর উঠিয়ে দেন, যাতে শফিউল্লাহ ও সোহাগ নিহত হন। মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে শফিউল্লাহর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হলেও সোহাগ মিয়ার লাশ উত্তোলন করা হয়নি।নিহত সোহাগের পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ না থাকায় তারা কবর খননে বাধা দেন।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাকিব হাসান খান বলেন, আদালতের নির্দেশে শফিউল্লাহর লাশ উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে নিহত অপর যুবক সোহাগ মিয়ার পরিবার কোনো অভিযোগ না করায় তাদের আপত্তির মুখে তার লাশ উত্তোলন করা হয়নি।
