১৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এনবিআরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’: চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কাজে ধীরগতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন‘ কর্মসূচির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ধীরগতি তৈরি হয়েছে।জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মীরা কাজে না থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য সরবরাহসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে স্থবিরতা চলছে।শনিবার সকাল থেকে এনবিআর এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করে। এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম কাস্টমসেও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ থেকে বিরত আছেন।এতে করে পণ্যের শুল্কায়ন, বিল অব এন্ট্রি দাখিলসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে বন্দরে আসা পণ্যের সরবরাহ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, “আমাদের অপারশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। পণ্য ডেলিভারিও এখনো হচ্ছে। তবে কাস্টমসের শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে তার প্রভাব পড়বে।”চট্টগ্রাম শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, “এনবিআর কর্মীদের শাটডাউন কর্মসূচির প্রভাব আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে পড়বে। এ কর্মসূচির কারণে বন্দরে কন্টেইনার জট বাড়াবে।”
আমদানিকারকদের জন্য নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কিছুদিন আগে এনবিআর এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলমবিরতি পালন করেছেন। এতে করে বন্দরে ভয়াবহ কন্টেইনার জট তৈরি হয়েছিল। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে সংকট তৈরি হয়। এ সংকট কাটিয়ে ওঠার সময়ে আবারও এ আন্দোলন অনাকাঙ্খিত।”জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানকে অপসারণ দাবিতে ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি শুরু করেছেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।
এদিন সকাল থেকে এনবিআরের ঢাকা কার্যালয়ের কর্মকর্তাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আন্দোলনকারীরা সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে রাজধানীর এনবিআর ভবনের সামনে সমবেত হয়েছেন।এছাড়া দেশের ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিও পালন করছে আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম-‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’।
গত মাসে এনবিআর দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি হয়। সেটি বাতিলের দাবিতে কলম বিরতিসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে নামেন এনবিআরের কর্মীরা।তাদের আন্দোলনের মধ্যে সরকার পিছু হটে। বলা হয়, অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।এরপর কাজে যোগ দিলেও আন্দোলনকারীরা এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে অটল থাকেন এবং সংস্থার কার্যালয়ে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন।
পরে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় অফিসে ফেরেন এনবিআর চেয়ারম্যান।তিনি দায়িত্বে এসে আন্দোলনে থাকা কয়েক কর্মকর্তাকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’, সেমিনার করতে চাইলে সে জন্য কক্ষ বরাদ্দ না দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে কর্মকর্তাদের।

আরও পড়ুন