২৩শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ইরানে ইসরায়েলি হামলা, পাল্টা জবাবে ড্রোন ছুড়লো তেহরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে পৌঁছেছে। ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে চালানো সামরিক অভিযানে ইরানের একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হওয়ার পর পাল্টা জবাব দিতে শতাধিক ড্রোন ছুড়েছে ইরান। এই ঘটনার পর থেকেই ইসরায়েলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। খবর বিবিসিরজেরুজালেমসহ বিভিন্ন শহরে আতঙ্কিত মানুষ সুপারশপগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে খাদ্য ও পানি মজুত করতে। ভোররাতে সাইরেন বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায় হাজারো ইসরায়েলি নাগরিক।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডিফ্রিন জানিয়েছেন, ইরানের দিক থেকে ১০০টিরও বেশি ড্রোন ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয়েছে। এগুলো প্রতিহত করতে কাজ করছে আইডিএফ (ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স)।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে জানা গেছে, এই হামলায় নিহত হয়েছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি এবং শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী ফেরেয়দুন আব্বাসি ও মোহাম্মদ তেহরানচি। গুরুতর আহত হয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা আলি শামখানি।ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি কড়া প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘ইসরায়েল নিজেই নিজের জন্য করুণ পরিণতির পথ তৈরি করেছে।’
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইরাক, কাতারসহ আশপাশের দেশগুলোও আকাশপথ বন্ধ রেখেছে। বাতিল হচ্ছে একের পর এক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। ইরানের প্রতি অনুগত ইরাকি মিলিশিয়ারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে—ইরানে হামলা হলে ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিগুলো ‘বৈধ টার্গেট’ হবে।
ওমানের মাস্কটে আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র-ইরান শান্তি আলোচনা নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এই ঘটনার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের দ্বার উন্মোচিত হতে পারে।

আরও পড়ুন