২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আ.লীগের ঝটিকা মিছিল: সাবেক এমপি বুবলীসহ ১৭ জন রিমান্ডে

অনলাইন ডেস্ক: কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলকে কেন্দ্র করে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও নরসিংদী পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রয়াত লোকমান হোসেনের স্ত্রী তামান্না নুসরাত বুবলীকে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের আরও ১৬ নেতা-কর্মীর বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান এই আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী।
রিমান্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি মো. মাহবুবুল হক হিরক; বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সম্পাদক ও শেখ হাসিনা তৃণমূল সংগ্রামী লীগের নেতা মো. আলম মাদবর; শ্রমিক লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক শাকিল; আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মানিক; বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম সুমন, মো. সাইফুল ইসলাম ও ফাহাদ হোসেন বাবু; সিরাজগঞ্জের মাধাইনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি নাইবুর রহমান নাইস; গাজীপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ মোল্লা, সোলাইমান মিয়া ও মো. আজিজ; আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন ও সিহাব শাহরিয়ার; আওয়ামী লীগ কর্মী মামুন ও ইনজামুল হক এবং ছাত্রলীগ কর্মী ফরহাদ পালোয়ান।তাঁদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্যসহ প্রথম সাতজনকে দুদিন এবং শেষ ৯ জনকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় এই ১৭ আসামিকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই আনোয়ার হোসেন খান তাঁদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে বিশেষ অভিযানে মিরপুর থেকে তামান্না নুসরাত বুবলীকে আটক করা হয়। পরদিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদের মধ্যে ৯ জনকে মিছিল থেকে আটক করা হয়। অন্যদের কয়েক দিন অভিযান চালিয়ে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১টার দিকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তেজগাঁও থানার ডেইলি স্টারের সামনে থেকে আনন্দ সিনেমা হলের সামনে দিয়ে পান্থপথ অভিমুখে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হন। কিছুক্ষণ পর জনমনে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালাতে গেলে ২৫ জনকে তখন আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে আওয়ামী লীগের ব্যানার ও চারটি অবিস্ফোরিত ককটেল জব্দ করে পুলিশ।ঘটনার পরদিন তেজগাঁও থানার এসআই মো. আব্দুল কাদের ২৫ জনকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।

আরও পড়ুন