নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নিয়ে মহাপরিকল্পনা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো— বড় বড় ফ্যাক্টরির জন্য বিনিয়োগ আনা। এতে দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি বিপুল সংখ্যাক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এজন্য পোর্ট (বন্দর) এফিশিয়েন্সি বাড়ানো প্রয়োজন। এখানেও কর্মসংস্থান বাড়বে। এটা যখন হয়ে যাবে, তখন এই এলাকার চেহারা আমরা আশা করছি কমপ্লিটলি চেঞ্জ হয়ে যাবে। তাই চট্টগ্রামের আবাসন নিয়েও মহাপরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন।’বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল বেলা ১১টার দিকে বে-টার্মিনাল প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।
প্রাইভেট অপারেটর নিয়োগ প্রসঙ্গে আশিক চৌধুরী বলেন, ‘এখানে প্রাইভেট অপারেটর নিয়োগে বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেখানে পিএসএ (সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি) ইন্টারন্যাশনাল আসছে। সিঙ্গাপুর পোর্ট নিয়ে কিছু বলার নেই। একটা ছোট দেশ, তারা আমাদের সাথেই স্বাধীন হয়েছে। তারা এখন কোথায় চলে গেছে। তাদের এ ডেভেলপমেন্টের পিছনে পোর্টের কন্ট্রিবিউশন সবচেয়ে বেশি। তারা তাদের বেস্ট এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, পিএসএ এবং ডিপি ওয়ার্ড আলাদাভাবে এক বিলিয়ন করে দুই বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে আসবে। এটি শুধু ২০২৬ সালেই একসাথে চলে আসবে, বিষয়টি এমন না। এটা তারা গ্রাজুয়েলি ইনভেস্টমেন্ট আনবেন। আশা করছি, ২০৩০-এর দিকে আমরা টার্মিনালগুলো চালু করতে পারবো।’
এর আগে, বে-টার্মিনাল প্রকল্প উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী রাফিউল ইসলাম। এ সময় চবক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের এখন কর্মসংস্থান দরকার। আর এই জায়গা (বে-টার্মিনাল) সরাসরি ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। ইনডিরেক্ট লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। এটি আমাদের নতুন জেনারেশনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘বে-টার্মিনাল ইনিশিয়ারি আমরা চারটা পরিকল্পনা নিয়েছি। এরমধ্যে একটি পিএসএ ও অন্যটি ডিপি-ওয়ার্ল্ড করবে। আর আমরা একটি মাল্টিপারপাস পোর্ট করবো। ওটা ওপেন টেন্ডারে যাবো। আরেকটি পরবর্তী প্রয়োজন আরেকটি এনার্জি টার্মিনাল আমরা প্ল্যানে রেখেছি।’এসময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদারসহ চবকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।