নিজস্ব প্রতিবেদক: সুজিত রায়। প্রয়াত শব্দসৈনিক, স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রে। যাঁর কন্ঠে ছিল অস্ত্র, বারুদ জমা ছিল গানে। একসময় চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের সংগীত জগতে ছিল তার অবিরাম বিচরন। অসংখ্য স্বনামধন্য শিল্পী তার সুর ও সংগীত পরিচলনায় গান করেছেন। খুব আন্তরিক ও বন্ধুসুলভ এই মানুষটি ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর হঠাৎ না ফেরার ধেশে পাড়ি জমান। চট্টগ্রাম শিল্পী সংস্থার পক্ষ থেকে একটি শোকসভার আয়োজন করা হয়েছিল, এছাড়া কোন উল্লেখযোগ্য আয়োজন লক্ষ করা যায়নি, এই শব্দসৈনিকের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। তাঁর একমাত্র উত্তরসূরী সৌরভ রায় (জন) এর সাথে কথা বলে জেনে নিলাম কিছু কথা, তাঁরই কিছু অংশবিশেষ:
বাবাকে কিভাবে অনুভব করছেন : বাবার অভাব প্রতিনিয়ত অনুভব করছি। চারিদিকে চিলে শকুনে আমাকে গ্রাস করে রেখেছে।
একসময় আপনাকে এই জগতে দেখা গিয়েছিল, এখন দেখা যায়না, আপনার বাবার উত্তরাধিকার সূত্রে এই স্বকিয়তা বজায় রাখার ব্যপারে আপনার ভাবনা কি ?
ছোটবলার থেকে ঘরে আমার বেড়ে উঠা সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে। ঘরে বাংলাদেশের প্রতিথযশা শিল্পী : শ্রদ্ধেয় প্রবাল চৌধুরী, কাদেরী কিবরিয়া, কুমার বিশ্বজিত, তপন চৌধুরী, আব্দুল মান্নান রানা সহ সকলের উপস্থিতি আমি দেখেছি। এখনও সবাই আমাকে তাদের সন্তান তুল্য স্নেহ করেন। আমার গানের হাতেখড়ি শ্রদ্ধেয় অঞ্জন রায় চৌধুরীর কাছে পরবর্তিতে সুরবন্ধু অশোক চৌধুরী ও বর্তমানে প্রত্যয় বড়ুয়া অভির কাছে তালিম নিচ্ছি। আসলে কর্মব্যস্তার কারনে আমি সাংস্কৃতিক জগতে মনোযগী হতে পারিনি। আমার বাবার ইচ্ছা ছিল চাকুরীর পাশাপাশি গান বাজনা করি। তাই বাবার ইচ্ছেপূরনের জনাই ফিরব।
আপনার পরিকল্পনা দেখেন গান সবাই গাইতে পারে। কিন্তু গুরুমুখী জ্ঞান আর সঠিক চর্চা এখন কয়জন করে? আমি স্বনামধন্য সংগীত পরিচালক সব্যসাচী রনির তত্ত্বাবধানে কি বোর্ড আর নিজেকে শক্ত করে। তৈরী করছি, যাতে সংগীতের ধারায় সহজে বিচরন করতে পারি। বাবার গান নিয়ে কিছু পরিকল্পনা আছে। আসন্ন শারদীয়া দুর্গৎসবে একটি একক ও দ্বৈত গানের কাজ চলছে।