২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন অনেক বড় মাপের একজন মানুষ: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সব ভালো ভালো কাজ সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের সময়ে করা এবং সেগুলো এখনও চালু রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) অনুষ্ঠিত সিভাসু’র রূপকার, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান-এর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন। বিকাল ৩টায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমান-এর ছেলে সাঈদ আল নোমান, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান ও বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, সিভাসু’র পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) প্রফেসর ড. এ. কে. এম. সাইফুদ্দিন, দৈনিক আমার দেশ-এর আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি, দৈনিক পূর্বকোণ-এর নগর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী খান, সিভাসু’র পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রাশেদুল আলম এবং আবদুল্লাহ আল নোমান-এর মেয়ে ডা. তাজিন নোমান।
স্মরণসভার শুরুতে ‘সিভাসু এবং আবদুল্লাহ আল নোমান’ এর ওপর মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন দেন সিভাসু’র ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো: আহসানুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন অনেক বড় মাপের একজন মানুষ। মন্ত্রণালয়ের সব ভালো ভালো কাজ তার সময়ে করা। তাঁর করা কাজগুলো এখনও চালু রয়েছে। আমি মনে করি, দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে যেটা প্রয়োজন, সেটা করতে হবে এবং আমি তা করে যাবো। যতক্ষণ ক্ষমতায় আছি, ততক্ষণ দেশের জন্য ভালো কাজ করে যাবো।
স্মরণসভায় সাঈদ আল নোমান বলেন, ‘আমি চাই এই বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) যেন কোন রাজনীতির মধ্যে পড়ে না যায়। এ বিশ্ববিদ্যালয় যেন সবকিছুতে নিরপেক্ষ থাকে এবং ভালো গ্র্যাজুয়েট তৈরির চেষ্টা করে। আমার পিতার প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমি সবকিছু করতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি নিজের জন্য কিছু করে যাননি। জনগণের জন্যই আজীবন কাজ করে গেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিভাসু’রউপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বমানের পাঠ্যসূচি, অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি এবং ইন্টারন্যাশনাল কল্যাবরেশনের মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অর্জন করছে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা। এটি বাংলাদেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়-যার শতভাগ শিক্ষার্থী বিদেশে ইন্টার্নশিপ করার সুয়োগ পেয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানের রূপকার হিসেবে সিভাসু পরিবার মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।

আরও পড়ুন