নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “মাইলস্টোন স্কুলের মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়াতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা শুধু জীবনহানি নয়, এটি সমাজ ও দেশের জন্যও বড় ক্ষতির কারণ। তাই আগুন লাগার ঝুঁকি কমাতে স্কুল, কলেজসহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা জরুরি। একইসাথে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অগ্নি দুর্ঘটনার সময় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানোর সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।”রোববার বিকালে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে ইনার হুইল ক্লাব অব সী কুইন নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।মেয়র বলেন, “শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, সামাজিক ও মানবিক সংগঠনগুলোকেও এ কাজে এগিয়ে আসতে হবে। অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র সরবরাহ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে আসবে। সিটি করপোরেশনও এ বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবে।”
ইনার হুইল ক্লাব অব সী কুইনের নেতৃবৃন্দ জানান, তারা বিভিন্নভাবে মানুষের সেবা করে আসছেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, চট্টগ্রামের অনেক স্কুলে অগ্নি নির্বাপক কেনার সক্ষমতা নেই। এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করে যাচ্ছে। তাই তারা যৌথভাবে প্রতিটি স্কুলে অন্তত একটি করে অগ্নি নির্বাপক সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়েছেন। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় অগ্নি দুর্ঘটনা মোকাবেলায় প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়া নিম্ন আয়ের মহিলাদের জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা কার্যক্রম, বিনামূল্যে পরীক্ষা ও সাশ্রয়ী মূল্যে আজীবন টিকা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের কথাও সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এ ব্যাপারে চসিক মেয়রের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
সভায় ইনার হুইল ক্লাব অব সী কুইনের সভাপতি সৈয়দা শাহনাজ আলম, সহ-সভাপতি সৈয়দা জীনাত আরা নিপুন, সৈয়দা নাজিয়া তাবাসসুম, ইমিডিয়েট পাস্ট প্রেসিডেন্ট ফারহানা হক, সেক্রেটারি শাহেদা সালাম, ট্রেজারার মুর্শিদা বেগম মিল্লি ও আইএসও নাজাদ সুলতানা মিলি উপস্থিত ছিলেন।
