নিউজ ডেস্ক: বিএনপি নেতা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফোরাম জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের বাজেট উত্তর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, অন্তবর্তী সকারের অধীনে দেশের প্রথম বাজেট নতুন এক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আগাম বিনিয়োগের আশায়। ৭,৮৯,৯৯৯ কোটি টাকার বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থনীতির বর্তমান অবস্থায় এ বাজেট সরকার সংকোচনমূলক বলে আখ্যায়িত করলেও বাস্তবতার ঘাটতি রয়েছে বাজেটে। জিডিবি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৬ শতাংশ এবং মূল্য স্ফ্রীতি ৬.৫ শতাংশ সীমাবদ্ধ রাখার লক্ষ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন দুরহ হবে। কারণ শিল্পের সুরক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেই। বিপরীতে বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ’র চাপে আয় বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তাই এই বাজেট অনেকটাই পূর্বের সরকারের বাজেটের প্রতিচ্ছবি। বড় বাজেট দিলে বাজেট ঘোষণা হয়, কিন্তু বাস্তবায়ন কল্পনার জগত। বিগত সরকার থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা আকার কমেছে। এবং ৫৩,০২৯ কোটি টাকা পরিচালনা ব্যয় কমেছে লক্ষ্য করা যায়। দেশি-বিদেশী ঋণ নির্ভর এ বাজেটে বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের সাথে ঘোষিত বাজেটের সম্পর্ক স্বল্পতা লক্ষনীয়। কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে আগামী দিনে দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করবে। এ বাজেটের ভালো দিক ব্লু ইকোনোমি খাতে ২০০ কোটি টাকা এবং স্টার্টআপ সেক্টরে ১০০ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা উদ্ভাবনী উদ্যোগ ও সমুদ্র সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হবে। জুলাই শহীদ ও যুদ্ধাহত পরিবারের জন্য বিশেষ বরাদ্দ নূন্যতম ১০০০ কোটি টাকা করার প্রয়োজন এবং তা যথাযথভাবে ন্যার্যতার ভিত্তিতে পরিচালনা করা গুরুত্বপূর্ণ। ঘাটতি ২,২৬,০০০ কোটি টাকার চাপ সামলানো অনেক চ্যলেঞ্জ হবে। ব্যয়ের দিকে এ বাজেট গতানুগতিক হলেও আয়ের দিক থেকে অনেক সাহসী বলা যায়। শিক্ষায় বরাদ্দ ৯৩৫ কোটি টাকা বাড়লেও প্রাথমিকে এটা কমানো হয়েছে। কারণ বাংলাদেশের শিক্ষার মূলভিত্তি প্রাথমিক, এটা সরকারের নজর দেওয়া দরকার। প্রকৃত পক্ষে নতুন বাজেটে বিগত সরকারের আমলে অনাদায়ী ঋণ পরিশোধের আরও বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে কোন ভূমিকা নেই। আয়ের বড় অংশ চাপিয়ে দেওয়া হয় এমবিআর’র কাধে, এ থেকে উত্তরণের জন্য এবং লক্ষ্য নির্ধারণে কোন ধরণের গবেষণা নেই বললেও চলে। দেশীয় শিল্প সুরক্ষার পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, ব্যবসা বাণিজ্যের সরলীকরণ প্রান্তিক জনসাধারণের জীবনমাত্রার প্রভাবসহ সার্বিক বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা দরকার।
