কাউখালী প্রতিনিধি: রাঙামাটির কাউখালী উপজেলা থেকে অপহরণের ৮ দিন পর পোলট্রি খামারি মো. মামুনের (৩৫) দ্বিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মামুন উপজেলার সুগারমিল আদর্শ গ্রাম এলাকার আলী আহম্মেদের একমাত্র ছেলে।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সকালে কলমপতি ইউনিয়নের নাইলেছড়ির মাঝেরপাড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামুনের খামারের সাবেক কর্মচারী কামরুল (২৮) ও তার স্ত্রী সাথী আক্তারকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার কামরুলকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গত সোমবার লক্ষীপুরের ভবানীগঞ্জের এক বন্ধুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর কামরুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে কাউখালীর মাঝের পাড়া এলাকা থেকে মামুনের বস্তাবন্দি অবস্থায় দ্বিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের দিনই রাতেই চায়ের সাথে নেশাজাতীয় খাবার খাইয়ে মামুনকে অজ্ঞান করে হত্যার পর দ্বিখন্ডিত লাশ বস্তাবন্দি অবস্থায় মাঝেরপাড়া এলাকায় ঝোঁপের মধ্যে মাটিতে পুঁতে রাখেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কামরুলের স্ত্রী সাথী আক্তারকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানিরহাট বাজার এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদুল ইসলাম বলেন, নিহত মামুনের সাবেক কর্মচারী ছিল কামরুল। কিন্তু কর্মচারী থাকলেও সম্প্রতি তারা দুজনে মিলে শেয়ারে ব্যবসা করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যবসায়ীক দ্বন্ধের কারণে এ নৃশৃংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে কামরুল।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই দুপুরে মামুন বাড়ি থেকে কাজে বের হয়ে নিখোঁজ হন। ওই দিন রাতেই অপহরণকারীরা মামুনের স্ত্রী সীমা আক্তারকে জানায় তার স্বামীকে অপহরণ কথা জানিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরদিন মামুনের স্ত্রী থানায় জিডি করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন এলাকায় অপহরণকারীদের সন্ধানে নামে পুলিশ।
