২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

যুব বিদ্রোহ উৎসব, ইতিহাসের চরমতম সত্যকে আমরা ভুলতে বসেছি

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে ‘যুব বিদ্রোহ উৎসব’ উদ্যাপন করলো বোধন আবৃত্তি পরিষদ। শুক্রবার চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বোধন ‘রাস্তা জুড়ে রোদ হোক’ শিরোনামে তৃতীয়বারের মতো এই যুব বিদ্রোহ উৎসবের আয়োজন করে।
বাংলার ইতিহাসে গৌরবগাঁথা কম নয়। কিন্তু প্রায় স্মৃতির অতলে চলে গেছে আমাদের জাতীয় জীবনের এক অমূল্য বীরত্বগাথা চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ। সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজদের সমস্ত অহংকার চূর্ণ করে দিয়েছিলেন মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন তরুণ যোদ্ধা। দোর্দণ্ডপ্রতাপের ব্রিটিশ শাসনের বিশাল ভারতবর্ষে চট্টগ্রামকে ৪ দিন স্বাধীন করে রেখেছিল কয়েকজন অকুতোভয় বিপ্লবী। সেই ঘটনাকে স্মরণ করে ‘যুব বিদ্রোহ উৎসব’ উদ্যাপন করলো।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কথামালায় অংশ নেন সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক সুভাষ দে, কবি ও প্রাবন্ধিক কমলেশ দাশগুপ্ত, কথা সাহিত্যিক ড. আজাদ বুলবুল ও বোধন আবৃত্তি পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল সোহেল।
প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক সুভাষ দে বলেন, যুব বিদ্রোহ একদিনে আসেনি। বিপ্লবীদের অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা পরিশ্রম ও জীবন বিসর্জনের মধ্যদিয়ে এটি এক যুগান্তকারী ইতিহাস হিসেবে রচিত হয়েছে। কিন্তু ইতিহাসের চরমতম এই সত্যকে আমরা ভুলতে বসেছি।
কবি কমল দাশগুপ্ত বলেন, ‘ইতিহাস সবসময় স্ব মহিমায় উজ্জ্বল। বিপ্লবীরা মরে না, তাঁরা মৃত্যুঞ্জয়ী। চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহে যাঁরা নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন সেই মহান শহীদদের আদর্শকে তরুণদের সামনে তুলে ধরতে হবে।
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক ড. আজাদ বুলবুল বলেন, যুব বিদ্রোহের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক- প্রগতিশীল সমাজ কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। বিপ্লবীদের ভুলে যাওয়া যাবে না। নব প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে গর্বের ইতিহাস।কথামালা শেষে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্য নিকেতন ও নৃত্যরূপ একাডেমি। দলীয় গানে অংশ নেন ধ্রুপদ সংগীত নিকেতন।
বোধনের অর্থ সম্পাদক অনুপম শীলের সঞ্চালনায় একক আবৃত্তিতে অংশ নেন বোধনের আবৃত্তিশিল্পী সুবর্ণা চৌধুরী, পল্লব গুপ্ত, সংগীতা কর চৌধুরী, সুচয়ন সেনগুপ্ত, শর্মিলা বড়ুয়া, জলিল উল্লাহ ও ত্রয়ী দে। অনুষ্ঠানে বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে বোধন আবৃত্তি পরিষদের শিল্পীরা।

আরও পড়ুন