অনলাইন ডেস্ক : গাজায় যুদ্ধবিরতি শুক্রবার কার্যকর হওয়ার পর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি উত্তর গাজায় ফিরে আসতে শুরু করেছেন। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ‘যুদ্ধের অবসান’ এবং বন্দি বিনিময়ের চুক্তি অনুমোদনের পর এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা (গ্রিনউইচ মান সময় সকাল ৯টা) থেকে যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়, যখন তারা প্রথম ধাপের চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সীমান্তরেখায় সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করে।
হামাসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য আসেনি।শুক্রবার সকালে ইসরায়েলি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিটি অনুমোদন দেয়, কয়েক ঘণ্টা আগে হামাসও জানায় যে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা ‘কান’ মিসরে স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রথম ধাপের একটি ফাঁস হওয়া কপি প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ আছে যে ইসরায়েল অনুমোদন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধ ‘তাৎক্ষণিকভাবে শেষ হবে।’দলিলে আরো বলা হয়েছে, চুক্তি বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, যেখানে তিনি গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করবেন।
ট্রাম্প সপ্তাহান্তে মিসর সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে তিনি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এরপর সোমবার তিনি ইসরায়েল সফর করবেন।বৃহস্পতিবার হামাসের প্রধান আলোচক খালিল আল-হায়া নিশ্চিত করেন যে ফিলিস্তিনি সংগঠনটিও যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চুক্তিতে সম্মতি দিয়েছে।তিনি আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীরা নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে এই চুক্তি স্বাক্ষরের অর্থ হবে ‘যুদ্ধের অনির্দিষ্টকালের জন্য সমাপ্তি।’তবে শুক্রবার সকালে গাজা সিটি ও খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ ও গুলির খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
