৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মৃত প্রেমিককে বিয়ে করে বললেন, ‘ভালোবাসার জয় হয়েছে’

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্রের নান্দেদে ২০ বছর বয়সী এক যুবককে মারধর, গুলি এবং পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে প্রেমিকার পরিবার। জাতপাতের কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন প্রেমিক সক্ষম টাটে।এই মর্মান্তিক ঘটনার শেষটা হয় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যে। প্রেমিকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলাকালীন তার প্রেমিকা কপালে সিঁদুর পরে টাটের মৃতদেহকেই বিয়ে করেন এবং সারা জীবন তার বাড়িতে পুত্রবধূ হিসেবে থাকার শপথ নেন।আঁচলের টাটের সঙ্গে পরিচয় হয় আঁচলের ভাইদের মাধ্যমেই। বাড়িতে ঘন ঘন যাতায়াতের মাধ্যমে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তাদের তিন বছরের সম্পর্ক পরে আরো গভীর হয়। তবে সম্প্রতি তাদের এই সম্পর্ক আঁচলের পরিবারের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়ে।ভিন্ন জাতের হওয়ায় আঁচলের পরিবার এই সম্পর্ক কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিল না। পরিবারের ক্রমাগত হুমকি সত্ত্বেও আঁচল সক্ষমের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রাখেন।
যখন আঁচলের ভাই এবং বাবা জানতে পারেন যে আঁচল টাটেকে বিয়ে করতে চলেছে, তখন আঁচলের পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর গত বৃহস্পতিবার টাটেকে তারা মারধর করে, মাথায় গুলি করে এবং পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়।এ ঘটনার পর সক্ষম টাটের শেষকৃত্যর সময় আঁচল তার বাড়িতে পৌঁছেন। সেখানে তিনি সক্ষমের মৃতদেহে হলুদ মাখিয়ে এবং নিজের কপালে সিঁদুর পরে মৃত প্রেমিককেই বিয়ে করার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘সক্ষমের মৃত্যুতেও আমাদের ভালোবাসার জয় হয়েছে, আর আমার বাবা-ভাইয়েরা হেরে গেছে।’ টাটের খুনিদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন তিনি। টাটে মারা গেলেও তাদের ভালোবাসা এখনো বেঁচে আছে, তাই তাকে বিয়ে করেছেন বলে জানান আঁচল।পুলিশ বিভিন্ন ধারায় ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তার করেছে।সূত্র : এনডিটিভি

আরও পড়ুন