২১শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মা-মেয়ে খুন: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক: পনের বছর আগে ঢাকার কদমতলী এলাকায় এক নারৗ ও তার মেয়েকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস ইসলাম রোববার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।দণ্ডিত দুই আসামি হলেন- আল-আমিন এবং মিরাজ মোল্লা। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।রায় ঘোষণার আগে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয় বলে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ওলিউল ইসলাম তুষার জানান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ৭ মে রাত থেকে ৮ মে সকালের মধ্যে কদমতলীর পলাশপুরে এ কে এম শাহ ই আলমের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ইয়াসমিন আলম ও তার মেয়ে ইরিনা আলম তানহাকে হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।ওই ঘটনায় রাজধানীর কদমতলীর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন ইয়াসমিনের ভাই মনির হোসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শাহ আলমের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সহযোগীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটনায় বলে সেখানে অভিযোগ করা হয়।মামলা হওয়ার পর শাহ আলমের প্রথম ঘরের ছেলে এবং তার দুই সহযোগী আল আমিন এবং মিরাজকে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দেন।তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ৩১ অগাস্ট পুলিশ পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
এরই মধ্যে আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান আদালতে দাবি করেন, ঘটনার সময় শাহ আলমের ছেলে শিশু ছিলেন। পরে আদালত বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়।তদন্তে উঠে আসে ঘটনার সময় ছেলেটির বয়স ছিল ১৪ বছর ৮ মাস ২৩ দিন। পরে তার মামলাটি বিচারের জন্য শিশু আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে তার মামলার বিচার চলছে।বাকি দুই আসামির বিচার চলাকালে ১৫ জনের সাক্ষ্য শোনে আদালত। আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রোববার রায় হল।

 

আরও পড়ুন