৩রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মার্কিন শুল্ক কমানো রফতানি খাতের জন্য সন্তোষজনক অবস্থা : আমীর খসরু

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশী পণ্য রফতানিতে মার্কিন প্রশাসনের আরোপ করা শুল্কের হার কমিয়ে ২০ শতাংশে আনা রফতানি খাতের জন্য একটি ‘সন্তোষজনক অবস্থা’ হিসেবে দেখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।তিনি বলেন, ‘এটা জয়-পরাজয়ের কোনো বিষয় না। যে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিযোগিতায় আমরা তুলনামূলকভাবে একটা সন্তোষজনক অবস্থানে আছি। আমরা ২০ শতাংশ, পাকিস্তান ১৯ শতাংশ, ভিয়েতনামে ২০ শতাংশ, ভারতে ২৫ শতাংশ। আমি মনে করি, প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে সার্বিকভাবে ট্যারিফের ফিগারটা সন্তোষজনক।’শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে নিজের বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের নতুন এই হারের পেছনে কী আছে সে প্রসঙ্গ টেনে আমীর খসরু বলেন, ‘পুরো সমঝোতার সার্বিক বিষয়টা তো আমাদের জানা নেই। সার্বিক বিষয়টা জানার পরে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব। ট্যারিফ বিপরীতে আর কী দিতে হয়েছে সেটা না জানা পর্যন্ত তো এর প্রভাব কী হবে সেটা বলতে পারছি না। তবে নতুন এ হারের সংশোধন যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের কাঠামোর একটি বৃহত্তর পুনর্বিন্যাসের অংশ হিসেবে এসেছে, যা দেশটির অনেক বাণিজ্যিক অংশীদারের ওপর প্রযোজ্য বলে মনে হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, শ্রীলঙ্কার জন্য হার কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে (আগে ছিল ৩০ শতাংশ), পাকিস্তানের হার কমে হয়েছে ১৯ শতাংশ (আগে ছিল ২৯ শতাংশ)। বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিযোগী, যেমন ভিয়েতনাম ও ভারতের ক্ষেত্রে ট্যারিফ হার বর্তমানে যথাক্রমে ২০ শতাংশ ও ২৫ শতাংশ।’
এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘সমঝোতার পেছনের বিষয়গুলো তো একটা প্যাকেজ। এখানে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে। শুধুমাত্র ট্যারিফের কত শতাংশ কমানো হলো সেই সিদ্ধান্ত হয়নি। এই সিদ্ধান্তের পেছনে অনেক আলাপ-আলোচনা, আমেরিকানরা কী পাঠাতে পারবে? বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের কী দাবি-দাওয়া ছিল এই বিষয়গুলো প্রকাশ হলে আমরা বুঝতে পারব।’
সম্প্রতি বাণিজ্য সচিব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার কথা বলেছেন তার সাথে ট্যারিফের কোনো সম্পর্কের ইঙ্গিত করছেন কিনা— এমন আরেক প্রশ্নের উত্তরে আমীর খসরু বলেন, ‘আমেরিকানদের পুরো ট্যারিফের বিষয়টা হচ্ছে, আমেরিকানদের পণ্য রফতানির স্বার্থে। সেজন্য তো এই অতিরিক্ত ট্যারিফ আরোপ করা হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, এটা শুধুমাত্র একটা ট্যারিফের বিষয় নয়। এর পেছনের আরো যে বিষয়গুলো জড়িত আছে সেগুলো সম্মিলিতভাবে আমাদের বিবেচনায় আনতে হবে। আগামী দিনের জন্য সেই বিবেচনাটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি মনে করি, আমাদের রফতানিকারকরা আপাতত স্বস্তি পেয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের পুরো বিষয়টা খোলাসা করা উচিত বলে মন্তব্য করে সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্য শুধু আমাদের আমেরিকার সাথে নয়, অন্যান্য দেশে সাথেও আমাদের পণ্য রফতানি হয়। সেই জায়গাগুলো বিবেচনায় নিয়ে সম্মিলিতভাবে আমরা কোথায় দাঁড়াচ্ছি সেটা বুঝতে হবে, পর্যালোচনা করতে হবে। আমাদের শুধু আমেরিকা নির্ভরশীল অর্থনীতি হতে পারে না। সেটাই হচ্ছে আমাদের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ।’

আরও পড়ুন