২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সরকার কাজ করছে-পার্বত্য উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অবঃ) সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা কোন বৈষম্য চাইনা। পাহাড়ে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়কে সাথে নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই, সবাইকে উন্নয়নের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত করতে চাই। তাই, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই এ সরকার কাজ করছে। শনিবার রাঙ্গামাটির চিং হ্লা মং মারি স্টেডিয়ামে সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আসামবস্তির মারমা সাংস্কৃতিক সং¯’া আয়োজিত সাংগ্রাই উৎসব- ২০২৫ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রত্যেক কমিউনিটির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে চাই। এজন্য সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, উন্নয়নের পাশাপাশি প্রয়োজন এডুকেশন বেইজড ডেভেলপমেন্ট এবং ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ-যা গড়ে তোলা খুব জরুরি। তিনি বলেন, পাহাড়ে এডুকেশন সিস্টেমকে উন্নতি করার জন্য স্যাটেলাইট এডুকেশন প্রক্রিয়া চালু করতে চাই। পাহাড়ের দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীরা প্রাইমারি ধাপ শেষ করার পর পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারে না। তাদের এ অব¯’ার উন্নতি করার কিছু প্রক্রিয়া সরকার হাতে নিয়েছে। আমরা উপজেলা পর্যায়ে হোস্টেল সুবিধা চালু করে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক ধাপ শেষে হোস্টেলে নিয়ে আসতে চাই। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হোস্টেলে রেখে বিনামূল্যে খাবারের ব্যব¯’া রাখতে চাই। পরে তাদের উ”চ শিক্ষার জন্য জেলা পর্যায়ে এ সুবিধা চালু রাখার পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।
পাহাড়ের পরিবেশ রক্ষা বিষয়ে জনাব সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অপর সৌন্দর্য অক্ষুন্ন রাখতে হবে। প্রকল্পের উন্নয়নের নামে প্রকৃতি ও পরিবেশের কোন ক্ষতি না করে পাহাড়ের ঝোপ-ঝাড়, বন জঙ্গল ও প্রাণিকূলের আবাস¯’ল টিকিয়ে রেখে বাঁশ বেত ও ঝোপ-ঝাড়ের পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ বাড়াতে হবে।
জলকেলি উৎসবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও তার স্ত্রী-কন্যা, ইতালীয় অ্যাম্বাসেডর, নেদারল্যান্ডস অ্যাম্বাসেডর ও ডাচেস আইনবিদ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা ফিতা কেটে ও পানি ছিটিয়ে জলকেলি শুরু করেন। এর পর ছোট ডিঙ্গি নৌকায় রাখা পানি দিয়ে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তরুন-তরুনীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে জলকেলি উৎসবে মেতে ওঠেন।
জলকেলির পাশাপাশি চলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করে। নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার প্রত্যয়ে প্রতি বছর এ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থা- মাসাস’র সভাপতি বাবু থোয়াই সুই খই মারমার সভাপতিত্বে জলকেলি অনুষ্ঠানে উপ¯ি’ত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, সাধারন সম্পাদক এ্যাড. মামুনুর রশীদ মামুন প্রমুখ।

আরও পড়ুন