অনলাইন ডেস্ক: তিন যুগের বেশি সময় পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্যারিফ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রজ্ঞাপন পেয়েই বন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ওয়েবসাইট, সফটওয়্যার, সিস্টেমে নতুন ট্যারিফ চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।বন্দরের হিসাবে আগের তুলনায় কেজি প্রতি ১২ পয়সা বাড়ছে মাত্র। তবে বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় এখন ট্যারিফ বাড়ানো উদ্বেগের।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বন্দর ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে আদায়যোগ্য ভাড়া, টোল, রেইল, ফি ও মাশুলের ক্ষেত্রে নতুন ট্যারিফ তফসিল কার্যকর হয়েছে। মাশুলের ক্ষেত্রে ডলারপ্রতি বিনিময় মূল্য ধরা হয়েছে ১২২ টাকা। ডলারের বিনিময় মূল্য বাড়লে মাশুলও বাড়বে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ডলার হিসাবে মাশুল আদায় করে।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, আগের ট্যারিফ হারের তুলনায় ক্ষেত্রবিশেষে ৩৫-৪০ শতাংশ বেড়েছে প্রজ্ঞাপনে। এক হিসাবে দেখা গেছে, নতুন ট্যারিফে কেজি প্রতি ১২ পয়সা বাড়ছে। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রজ্ঞাপন পাওয়ার পরই ট্যারিফের নতুন হার বন্দরের বিভিন্ন সফটওয়্যার ও সিস্টেমে আপডেট করার কাজ শুরু হয়েছে। শতভাগ কাজটা সম্পন্ন করতে একটু সময় লাগতে পারে।
বিজিএমইএর পরিচালক রকিবুল আলম বাংলানিউজকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভোগ্যপণ্যের পর সবচেয়ে বেশি আমদানি করা হয় তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল। যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্কহার, প্রতিযোগী দেশগুলোর রপ্তানিকারকদের সঙ্গে তুলনামূলক অবস্থান ইত্যাদি বিবেচনায় এখন বন্দরের ট্যারিফ বাড়ানোটা আমাদের জন্য কিছুটা উদ্বেগের। আমরা চাই, বন্দরের ট্যারিফের সঙ্গে সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে। বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খাইরুল আলম সুজন বলেন, বন্দরে উচ্চহারে মাশুল বৃদ্ধির কারণে ভোক্তা পর্যায়ে চাপ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যান্য দেশের সাথে রপ্তানি খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
