১৩ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম কাস্টমসে  আমদানিকৃত ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি সরকারের মালিকানায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানিকৃত ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনস্বার্থে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বুধবার এ বিষয়ে একটি বিশেষ আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এই বিলাসবহুল গাড়ি বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যরা আমদানি করেছিল।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গাড়িগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস এসব গাড়ির শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না জানতে চাইলে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এনবিআর জানায়, বিলুপ্ত সংসদ সদস্যদের এসব গাড়ি খালাসের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা কার্যকর হবে না। ফলে আমদানিকারকদের স্বাভাবিক হারে শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের হিসাবে, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানিকৃত এসব ৩১টি গাড়ির মোট প্রদেয় শুল্ক ও করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। একক প্রতি সর্বোচ্চ শুল্ক ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং সর্বনি¤œ ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।
তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গাড়িগুলোর আমদানিকারকেরা শুল্ক-কর পরিশোধ না করায় কাস্টমস আইন, ২০২৩–এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। কিন্তু নিলামে কোনো ক্রেতা যৌক্তিক দর না দেওয়ায় সরকার শেষ পর্যন্ত জনস্বার্থে গাড়িগুলো ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়।
এনবিআরের বিশেষ আদেশে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা শুল্ক-কর পরিশোধ করে আইনানুগ পদ্ধতিতে গাড়িগুলো খালাস করতে চাইলে কাস্টমস হাউস, চট্টগ্রাম তা বিবেচনা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে গাড়িগুলো ফেরত দেবে।

আরও পড়ুন