২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের বেশী দাম, পাইকারীতে কম

মোহাহম্দ জাহেদ উল্লাহ চৌধুরী: বন্দর নগরী চট্টগ্রামে খুচরা বাজারে বেশি দামেই বিক্রি করা হচ্ছে পেঁয়াজ। আড়ত আর খুচরা বাজারের মধ্যে ব্যবধান প্রায় ২০ টাকার মত। এর এক মাস আগে হঠাৎ করে দেশের বাজারে বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। এই সময়ে প্রতি কেজিতে প্রায় ৩০টাকা পর্যন্ত বাড়ে নিত্যপণ্যটির দাম। বেড়ে যাওয়া সেই পেঁয়াজের দাম দুই সপ্তাহ ধরে পাইকারি বাজারে পড়তির দিকে। কিন্তু সেটির সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। খুচরা বাজারে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি।
খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তদাররা বলেছেন, আড়তে দাম কমার খবর ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছায় না। এই সুযোগটা নেন দোকানিরা। প্রশাসন নজরদারি বাড়ালে দাম কমার প্রকৃত সুফল পাবেন ভোক্তারা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরায় কমছে না দাম। আড়তদাররা বলছেন, পাইকারিবাজার থেকে খুচরা পর্যায়ের দোকানে যাওয়া পর্যন্ত গাড়িভাড়া-নষ্ট হওয়া পেঁয়াজ বাদ দেওয়ার পর লাভসহ প্রতি কেজিতে ৫ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব। অর্থাৎ ৭০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে পেঁয়াজের দাম। কিন্তুবহদ্দারহাট ও দুই নম্বর গেটের কর্ণফুলী কমপ্লেক্সসহ কয়েখটি বাজারে দেখা যায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।
দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহত্তম পাইকারিবাজার খাতুনগঞ্জে দেখা যায়, সারি সারি পেঁয়াজ নিয়ে আসা ট্রাক। আড়তগুলোতেও বস্তায় বস্তায় পেঁয়াজ। স্বাভাবিকভাবে সরবরাহ বেশি থাকায় দামও কমছে। ১০দিন আগেও এখানে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে মানভেদে ৭০ থেকে ৭২টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। গতকাল সপ্তাহের শুরুর দিন সেই দাম আরও কমে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
দুই কারণে পেঁয়াজের দাম কমছে বলে জানিয়েছেন খাতুনগঞ্জের অন্যতম বড় পেঁয়াজ বিক্রির প্রতিষ্ঠান মেসার্স কাজী স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. জাবেদ ইকবাল। তিনি বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এছাড়া সরবরাহ অনুযায়ী পাইকারি ক্রেতাও নেই। এ কারণে পেঁয়াজের দাম পড়তির দিকে আছে।
বহদ্দারহাটের মুদি দোকানি সাহাব উদ্দিন বলেন, আড়তে ৬৫ টাকা পেঁয়াজ হলেও সেটা খুচরা বাজার পর্যন্ত আসতে আসতে অনেক খরচ বেড়ে যায়। গাড়ি ভাড়া আর শ্রমিকের খরচ তো আছেই। এছাড়া অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। আবার খোসা ফেলার পর ওজনও কমে যায়। সেজন্য আড়তের চেয়ে খুচরায় দাম কিছুটা বেশি।
এদিকে রাস্তায় রাস্তায় বিক্রি করা ভ্যানগাড়িগুলোতে দাম কিছুটা কম রয়েছে। সেখানে মানভেদে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে নিত্যদিনের রান্নার প্রয়োজনীয় এই মসলাটি। দোকানের ভাড়া-কর্মচারীর বেতনসহ আনুষঙ্গিক খরচ না থাকায় পেঁয়াজ দোকানের চেয়ে কম দামে দিতে পারছেন বলে জানিয়েছেন বহদ্দারহাটে ভ্যানে করে নিয়মিত পেঁয়াজ বিক্রি করা জাহাঙ্গীর আলম।

আরও পড়ুন