১৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

খালাস করা যাচ্ছে না জাহাজের এলএনজি, গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিরূপ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের সঙ্গে কার্গোবাহী জাহাজের সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না দুই দিন ধরে।ফলে খালাস করতে না পারায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্ণফুলি গ্যাস বিতরণ সংস্থার অধিভুক্ত অঞ্চল ও ঢাকায় তিতাস গ্যাসের অধিভুক্ত অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।এই ঘটনায় রাষ্ট্রায়াত্ত কোম্পানি পেট্রোবাংলা ও বিতরণ সংস্থা তিতাসের পক্ষ থেকে পৃথক বার্তায় দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার রাতে পেট্রোবাংলার এক বার্তায় বলা হয়, “দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে অবস্থিত এফএসআরইউতে গতকাল ও আজ এলএনজি কার্গো বার্থিং করতে না পারায় জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সঞ্চালন ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।“এর ফলে কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি অধিভুক্ত এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে বার্থিং শুরু হবে।সাময়িক এ অসুবিধার জন্য ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার যোগাযোগ করা হলে পেট্রোবাংলার এলএনজি শাখার মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, “গত দুই দিন ধরে এলএনজি সরবরাহ দৈনিক প্রায় আড়াইশ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে এসেছিল। আজ দুপুর নাগাদ সামিটের এফএসআরইউ এবং বিকাল নাগাদ এক্সিলারেট এনার্জির এফএসআরইউতে কার্গো বার্থিং সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”
পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে গত ১৬ জুনের পর আর গ্যাস সরবরাহের প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়নি। সবশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৫ জুন প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ হয়েছিল। ওইদিন জাতীয় সঞ্চালন লাইন গ্যাস সরবরাহ হয়েছিল ২৮০০ মিলিয়ন ঘনফুটের কিছু বেশি।দেশে চাহিদার তুলনায় গ্যাস সরবরাহ প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট কম থাকায় সব ক্ষেত্রে সঙ্কট বিরাজ করে। আমদানি করা এলএনজি দিয়ে সেই চাহিদা কিছুটা মেটায় সরকার।বর্তমানে দেশীয় কূপ থেকে দুই হাজার মিলিয়ন ঘনফুটেরও কম গ্যাস সরবরাহ করা যায়; যেখানে চাহিদা অন্ততপক্ষে ৩৮০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

আরও পড়ুন