আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কৃষ্ণসাগর অতিক্রমের সময় রাশিয়ার কথিত ‘ছায়া নৌবহরের’ জ্বালানি তেলবাহী দুটি ট্যাংকারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের নৌবাহিনী। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির যাচাই করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উচ্চগতিতে ছুটে আসা ড্রোনগুলো সরাসরি ট্যাংকারগুলোতে আঘাত হানে। মুহূর্তেই ঘটে বিস্ফোরণ, ছড়িয়ে পড়ে আগুন আর কালো ধোঁয়া।তুরস্কের উপকূলে গত শুক্রবার ‘এমটি কায়রোস’ ও ‘বিরাট’ নামের গাম্বিয়ার পতাকাবাহী ট্যাংকার দুটির ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরদিন শনিবার ‘বিরাট’ ট্যাংকারে আরো একটি হামলার খবর পাওয়া গেছে। তবে এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য নেই।বিভিন্ন গণমাধ্যমের সূত্র মতে, এমটি কায়রোস থেকে ২৫ নাবিককে উদ্ধার করেন তুরস্কের কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।যাদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি নাবিক আছেন। তারা সবাই সুস্থ আছেন।ইউক্রেনের সামরিক ও নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, হামলায় ‘সি বেবি’ নামের বিশেষ নৌ ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে, যা তৈরি করেছে ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবা (এসবিইউ)।রাশিয়ার তেল নির্ভরশীল যুদ্ধ-অর্থায়ন দুর্বল করতেই সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি অবকাঠামো ও পরিবহনব্যবস্থায় বেছে বেছে হামলা চালাচ্ছে কিয়েভ।২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে পুরনো ও মালিকানা-অস্পষ্ট শত শত জাহাজ নিয়ে ‘ছায়া নৌবহর’ দাঁড় করিয়েছে মস্কো। বীমা ও রেজিস্ট্রেশন নিয়েও এসব ট্যাংকারকে ঘিরে রয়েছে নানা ধোয়াঁশা।
কৃষ্ণসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে ‘কায়রোস’ এবং আরো পূর্ব অঞ্চলে ‘বিরাট’ ট্যাংকারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য মতে, দুটি ট্যাংকারই আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।





