২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ জসিমের চলে যাওয়ার ২৭ বছর

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই সিনেমার সোনালি দিনের নায়ক জসিম। খল অভিনেতা হিসেবে সিনেমায় নাম লিখিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক নম্বর অ্যাকশন হিরো। আজ জসিমের চলে যাওয়ার ২৭ বছর। ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর আকস্মিক মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।তার অনবদ্য অভিনয়, বিশেষ করে অ্যাকশন দৃশ্যে তার নিপুণ উপস্থাপন আজও দর্শকদের হৃদয়ে অমলিন।বিএফডিসিতে নায়ক জসিমের নামে রয়েছে ‘মুক্তিযোদ্ধা চিত্রনায়ক জসিম ফ্লোর’। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২ নম্বর সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশ নেন তিনি।দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে ‘দেবর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে রূপালি পর্দায় অভিষেক করেন জসিম।যদিও এই অভিনেতার শুরুটা তারও অনেক আগে। শুরুর দিকে তিনি ‘এক্সট্রা আর্টিস্ট’ হিসেবে চলচ্চিত্রে কাজ করতেন। বিষয়টি এক সাক্ষাৎকারে জসিম নিজেই জানিয়েছিলেন। সেই এক্সট্রা আর্টিস্ট থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান তিনি।দর্শকমহলে পরিচিতি পান ‘অ্যাকশন কিং’ হিসেবে।
অভিনয় করেছেন খলনায়ক হিসেবেও। এই ভূমিকায় তাঁকে দেখা গেছে ৭০টিরও বেশি সিনেমায়। আর নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন ১২০টির বেশি ছবিতে। তাঁর অভিনীত সিনেমার মধ্যে ‘দেবর’, ‘রংবাজ’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘কাজের বেটি রহিমা’, ‘মহেশখালির বাঁকে’, ‘বারুদ’, ‘বদলা’, ‘কসাই’, ‘বাহাদুর’, ‘এক মুঠো ভাত’, ‘দি রেইন’, ‘কুয়াশা’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘ভাই আমার ভাই’, ‘মাস্তান রাজা’, ‘স্বামী কেন আসামি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
নায়ক জসিমের প্রথম স্ত্রী ছিলেন সুচরিতা। দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম নাসরিন। এই দম্পতির তিন ছেলে এ কে সামি, এ কে রাতুল ও এ কে রাহুল। গত ২৭ জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন ‘ওন্ড’-এর ভোকালিস্ট, বেজিস্ট ও শব্দ প্রকৌশলী এ কে রাতুল। তিনি ছিলেন জসীমের মেজ ছেলে।

আরও পড়ুন